Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (মাঘ ১৪২৩)

আবদুল হক
গ্রাম : সুবিদ খালী, উপজেলা : মির্জাগঞ্জ,
জেলা : পটুয়াখালী
প্রশ্ন : বাঁধাকপির পাতায় হলুদ রঙের দাগ পড়ে, পরে দাগগুলো কালো হয়ে পাতাটি নষ্ট হয়ে যায়। কি করলে প্রতিকার পাবো।
উত্তর : কপি গোত্রের সবজিতে এটি একটি মারাত্মক রোগ। প্রথমে পাতায় এ রোগের আক্রমণ হয়। পরবর্তীতে ফুল ও বীজ পডে আক্রমণ বিস্তার লাভ করে। অল্টারনারিয়া নামক এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণে ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে এ রোগ দেখা যায়। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। এজন্য ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রভেক্স-২০০ (প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম) দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে; প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ কেজি সালফার ও ১ কেজি বোরন প্রয়োগে গাছের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ে; আক্রমণ দেখা দিলে ইভারাল বা রোভরাল (ইপ্রোডিয়ন) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।
আহিনুর রহমান, গ্রাম : জয়কুর
উপজেলা : পীরগঞ্জ
জেলা : ঠাকুরগাঁ
প্রশ্ন : টমেটো গাছের পাতার কিনারা প্রথমে হালকা বাদামি ও কালো হয়ে যায়। আস্তে আস্তে পুরো পাতা ঝলসিয়ে যায় ও গাছ মারা যায়। কি করলে প্রতিকার পাবো।
উত্তর : ফাইটফথোরা নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। টমেটো ছাড়া আলুতেও এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগটি বাংলাদেশে মড়ক নামেও পরিচিত। রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ পাতায় প্রকাশ পায়। অনুকূল আবহাওয়া পেলে ৪-৫ দিনের মধ্যে সব ফসল মরে যায়। রোগের লক্ষণ ক্রমান্বয়ে গাছের কাণ্ড ও ফলে ছড়িয়ে পড়ে।  আর- সুস্থ টমেটো ফসল হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে; রোগের অনুকূল পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র প্রতিরোধক হিসাবে ২ গ্রাম মেনকোজেব+মেটালাক্সিল (রিডোমিল গোল্ড, মেটারিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে; রোগ দেখা মাত্র সেচ প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে; রোগের আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সিকিউর মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মহসিনা
গ্রাম : আদর্শ কাশিরামপুর, উপজেলা : পীরগঞ্জ
জেলা : রংপুর
প্রশ্ন : আলুর পাতা হলুদ হয়ে যায় ও কাণ্ডের গোড়া পচে যায়। কী করণীয়?
উত্তর : এটি আলুর ছত্রাকজনিত রোগ। একে কাণ্ড পচা রোগ বলে। কাণ্ডের গোড়ায় কালো দাগ পড়ে। পরে আলুর গা থেকে পানি বের হয় এবং পচে যায়। এর জন্য- আক্রান্ত গাছ কিছু মাটিসহ সরিয়ে ফেলতে হবে; জমিতে বীজ বপনের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মেনকোজেব অথবা প্রভেক্স দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে; পরবর্তীতে জমিতে গভীর চাষ দিয়ে কয়েক দিন ফেলে রাখতে হবে; একই জমিতে বারবার আলু চাষ না করা ভালো। কয়েকবার দানাফসল চাষ করে আবার আলু চাষ করলে এ রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
ইদ্রিস আলী
গ্রাম : কালীগঞ্জ, উপজেলা : জলডাঙ্গা
জেলা : নীলফামারী
প্রশ্ন : ফুলকপির পাতা, ডগা ও কপি খেয়ে পোকা নষ্ট করছে। কী করণীয়?
উত্তর : ডিম থেকে বের হয়ে পোকা একত্রে গাদা করে থাকে। পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় বড় ছিদ্র করে। এর জন্য ক্ষেত পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে; ডিম ও পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে; চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যে জমিতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে; আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (সুমিথিয়ন, সিমবুশ, রাইসন) প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ১০ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।
ফরিদুল ইসলাম
গ্রাম : রাধানগর, উপজেলা : মেঘনা
জেলা : কুমিল্লা
প্রশ্ন : ভুট্টার পাতা ঝলসে যাচ্ছে, কী করব?
উত্তর : ভুট্টার পাতা ঝলসানো ছত্রাকজনিত রোগ। আক্রান্ত গাছের নিচের দিকের পাতায় লম্বাটে ধূসর বর্ণের দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে গাছের উপরের অংশে তা বিস্তার লাভ করে। রোগের প্রকোপ বেশি হলে পাতা আগাম শুকিয়ে যায় এবং গাছ মরে যায়। এ রোগের জীবাণু গাছের আক্রান্ত অংশে অনেক দিন বেঁচে থাকে জীবাণুর বীজকণা বা কনিডিয়া বাতাসের সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত সুস্থ গাছে ছড়াতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে এবং ১৮-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়।
প্রতিকার : রোগ প্রতিরোধী জাতের (মোহর) চাষ করতে হবে; আক্রান্ত গাছ, ঝরা পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে; আক্রান্ত ফসলে প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি প্রপিকোনাজল (টিল্ট ২৫০ ইসি) মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে;  ভুট্টা উঠানোর পর জমি থেকে আক্রান্ত গাছ সরিয়ে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
রাশেদুল হক
গ্রাম : শালডাঙ্গা, থানা : দেবীগঞ্জ
জেলা : পঞ্চগড়
প্রশ্ন :  পেঁয়াজের পাতা পচে যাচ্ছে, কী করণীয়?
উত্তর : পেঁয়াজের পাতা পচা একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগের আক্রমণে পাতায় ও বীজকাণ্ডে পানি ভেজা তামাটে, বাদামি বা হালকা বেগুনি রঙের দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত পাতা ওপর থেকে মরে আসে। এক সময় পাতা/গাছ ভেঙ্গে যায়।
প্রতিকার : আক্রান্ত পাতা ও বীজকা- ছাঁটাই করে ধ্বংস করা; সুষম সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করা; আক্রান্ত ক্ষেতে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইপ্রডিয়ন (রোভরাল) এককভাবে অথবা ২ গ্রাম রোভরাল ও ২ গ্রাম রিডোমিল গোল্ড একত্রে মিশিয়ে ১২ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
বীথি
গ্রাম : জলিশা, উপজেলা : দুমকী
জেলা : পটুয়াখালী
প্রশ্ন : মুরগির চোখে পিজিয়ন পক্স বা গোটা দেখা দিলে করণীয় কী?
উত্তর : পিজিয়ন পক্সের টিকা দিতে হবে। ৫-৭ দিন বয়সের কবুতর ও ২-৭ দিন বয়সের বাচ্চা মুরগিকে ১-৩ মাস পর পর এ টিকা দিতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ১% সল্যুশন তুলা দিয়ে ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে।
মুজিবর রাহমান
গ্রাম : হাজীপাড়া, উপজেলা : গৌড়নদী
জেলা : বরিশাল
প্রশ্ন : ছাগলের চোখে ছানি পড়ে, কী করব?
উত্তর : ছাগলের চোখের ছানি দূর করতে সিলভার নাইট্রেট প্রয়োগ করা হয়। পরিপক্ব ছানি অপারেশন করতে হবে। অটো থেরাপি (রস থেকে ব্লাড সংগ্রহ করে মাংসে প্রয়োগ করা) প্রদান করতে হবে। আঘাতজনিত ছানি হলে এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টামিন দিতে হবে।
সোহেল রানা
গ্রাম : কাটলা, উপজেলা : বিরামপুর
জেলা : দিনাজপুর
প্রশ্ন : দেশি শিং মাছ চাষের জন্য করণীয় কি?
উত্তর : পুকুরের আয়তন ২০ শতক হলে ভালো হয় এবং গভীরতা ৫-৬ ফুট এবং ৭-৮ ঘণ্টা সূর্যের আলো থাকলে ভালো হয়। পোনার মজুদ ঘণত্ব ৭৫০-৮০০ প্রতি শতকে হলে ভালো হয়। শিং এর পোনা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করতে হবে। খাবার দিলে দুইবেলা বাজার থেকে রেডি ফিড এনে মাছের ওজনের ৩-৫% হারে খাবার দিতে হবে। ৬ মাস হলে বড়গুলো তুলে ছোটগুলো ছাড়তে হয়। প্রতি কেজিতে ১৫টি হলে বিক্রি করা উত্তম। পুকুরে কাপড় ধোয়া, গোসল করা নিষেধ।
দেশি শিং মাছ চাষে তিনগুণ লাভ পাওয়া যায়। শিং মাছের একক চাষও লাভজনক।
শিং চাষের পুকুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রয়োজন। বর্ষাকালের পানির স্তরের অন্তত ২-২.৫ ফুট উপরে শক্ত করে ঘের/বেষ্টনী দিতে হবে। টিন বা ঘন ফাঁসের নাইলন জাল অথবা বাঁশের বানা দিয়ে ঘের দিতে হবে। স্থায়ীভাবে চাইলে ইট দিয়ে ঘের দেয়া যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেষ্টনীর কোথাও কোন ফাঁকা না থাকে।
আরিফুল ইসলাম
গ্রাম : সকদিরামপুর, উপজেলা : ফরিদগঞ্জ
জেলা: চাঁদপুর
প্রশ্ন : ফুলকা পঁচা রোগ হলে কি করব?
উত্তর : প্রতি শতাংশে আধা কেজি হারে চুন ৭ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। ঘা যুক্ত মাছগুলো পুকুর থেকে তুলে ২০ লিটার পাত্রে পানি নিয়ে তাতে  ২০০ গ্রাম লবণ মিশিয়ে পানিতে মাছগুলোকে ৫ মিনিট রাখতে হবে। অন্য একটি পাত্রে একই পরিমাণ পানি নিয়ে ৫ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে ৫ মিনিটের জন্য মাছগুলোকে রাখতে হবে তারপর পুকুরে ছাড়তে হবে।
প্রতি কেজি খাবারের সাথে টেরামাইসিন ট্যাবলেট (৩ মি.গ্রা) একটি করে এক সপ্তাহ খাওয়াতে হবে।

কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ*
*সহকারী তথ্য অফিসার (শস্য উৎপাদন), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon